ভূপরিস্থ ও ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষকের জন্য সেচের সুযোগ সৃষ্টি করা ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণে সাহায্য করা বিএডিসি সেচ অফিসের উপর অর্পিত মৌলিক দায়িত্ত্ব । উপজেলা সেচ কমটি’র অনুমোদন স্বাপেক্ষে, স্কীম ম্যনেজার /চাষী ভাই’রা, জামানতের টাকা জমা দিয়ে বিভিন্ন ক্ষমতা সম্পন্ন সেচ যন্ত্র (১, ২, ৫, ১২.৫, ২৫ কিউসেক পর্যন্ত) ভাড়া নিতে পারেন। পাশাপাশি, নির্ধারিত পার্টিসিপেসন ফি আদায় স্বাপেক্ষে বিভিন্ন সেচ অবকাঠামো নির্মাণের আবেদনও এখানে জমা দিতে পারেন। সেচ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, সেচ সম্প্রসারণ ও সেচ দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষে এখানে আয়োজন করা হয় কৃষক, সেচ যন্ত্রের ডিলার ও মেকানিকদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। সেচ এলাকা বৃদ্ধির জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী প্রকল্প মূল্যায়ন ও দিক নির্দেশনা প্রদানও মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের আমরা দিয়ে থাকি।
তাছাড়া, পানি সম্পদ জরীপ, পানির গুনাগুন পরীক্ষা-পরিবীক্ষণ ও তথ্য সেবা প্রদান বিএডিসি সেচ বিভাগের অন্যতম দায়িত্ব। সেচের পানির গুনাগুন যাঁচাই এর প্রয়োজনে কৃষক বিএডিসি ভবনে এসে সেচের পানিতে বিদ্যমান আর্সেনিক, আয়রন ও অন্যান্য দূষিত উপাদানের পরিমাণ জানতে পারেন।
১) সেচ কাজে ভূপরিস্থ পানি ব্যবহারে অগ্রাধিকার প্রদান।
২) বর্ষা ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষন করে সেচ কাজে ব্যবহারের জন্য দেশের সংযোগ খাল/নালা পুনঃখনন/সংস্কার।
৩) পাহাড়ী ঝরনার পানি ও বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি নদীতে রাবার ড্যাম, ঝিরিবাঁধ ও অন্যান্য সেচ অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে সেচ সম্প্রসারণ।
৪) সেচের পানির অপচয়রোধে ভূগর্ভস্থ সেচ নালা(বারিড পাইপ) নির্মাণ।
৫) সেচের পানি পরিমিত ব্যবহার ও সাশ্রয়ে স্প্রীংকলার, ড্রিপ ও অন্যান্য সেচ পদ্ধতির কার্যক্রম গ্রহন।
৬) কৃষি পরিবেশগতভাবে প্রতিকুল এলাকায় যেমনঃ- উপকূলীয় অঞ্চল, হাওড় অঞ্চল, পাহাড়ী অঞ্চল ও চর অঞ্চলে এলাকা উপযোগী সেচ কার্যক্রম গ্রহন।
৭) সেচচার্য আদায় নিশ্চিতকরন ও পানির পরিমিত ব্যবহারের লক্ষ্যে গভীর নলকূপের প্রি-পেইড মিটার স্থাপন।
৮) সেচ নিয়ন্ত্রক পাইপ(সেনিপা) প্রয়োগে সেচের পানির অপচয়রোধ।
৯) হাওড় অঞ্চলে আগাম বর্ষা বা পাহাড়ী ঢল থেকে বোরো ফসল রক্ষায় সাবর্মাসিবল ড্যাম নির্মাণ।
১০) পাহাড়ী অঞ্চল ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে কনফাইন্ড এক্যুইফার বিশিষ্ট এলাকায় আর্টেসিয়ান
১১) সাগর থেকে ভূগর্ভ হয়ে লবন পানির অনুপ্রবেশ সম্প্রর্কিত তথ্য সম্বলিত উপাত্ত প্রনয়ণ।
১২) ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়নের লক্ষ্যে পানি সম্পদ উন্নয়নে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সরকারকে পরামর্শ প্রদান;
১৩) সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে সার আমদানী প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগীতা প্রদান;
১৪) সার সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে সরকারকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ ও পরামর্শ সেবা প্রদান;
১৫) যান্ত্রিত চাষ পদ্ধতি ও সেচ কাজে পাওয়ার পাম্পের ব্যবহার প্রবর্তন;
১৬) গভীর, অগভীর ও হস্তচালিত নলকূপ স্থাপনের মাধ্যমে সেচ সুবিধা প্রদান;
১৭) উৎপাদিত বীজ প্রক্রিয়াজাতপূর্বক কৃষকদের নিকট বিতরণ;
১৮) দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য নিজস্ব সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় কৃষি নীতি, কর্মসূচী এবং প্রকল্প সমূহ বাস্তবায়ন করা;
১৯) প্রতিযোগিতামূলক বাজারে কৃষকদের জন্য ন্যায্য মূল্যে কৃষি উপকরণ (বীজ,সার, সেচ সুবিধা ইত্যাদি) সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং উপকরণ বিতরণ ব্যবস্থা বেসরকারিকরণের ফলে কৃষক পর্যায়ে উদ্ভূত সমস্যাবলী দূরীকরণের লক্ষ্যে কৃষি বাজার ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন করা;
২০) কৃষি খামার যান্ত্রিকীকরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা;
২১) কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি বিজ্ঞানী কর্তৃক উদ্ভাবিত উন্নত জাতের বীজ উৎপাদন ও বিতরণ কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করা;
২২) কৃষক, ব্যবসায়ী এবং বাণিজ্য সংগঠকদের কৃষি ব্যবসা উদ্যোগকে সহযোগীতা, সহায়তা ও উৎসাহ প্রদান করা এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত/ঘোষিত অন্যান্য সেবাসমূহ প্রদান করা;
২৩) উন্নত বীজ উৎপাদন, সংগ্রহ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ, বিপণন এবং সীমিত আকারে বীজ শিল্প উন্নয়নে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তিকে সেবা প্রদান;
২৪) সব্জী, চারা, কলম এবং উদ্যান ফসলের উন্নয়ন ও বাজার সম্প্রসারণ;
২৫) ক্ষুদ্রসেচ সুবিধা প্রদান, সেচ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, সেচ সম্প্রসারণ ও সেচ দক্ষতা বৃদ্ধির উপর কৃষক প্রশিক্ষণ;
২৬) পানি সম্পদ জরীপ, পানির গুনাগুন পরীক্ষা-পরিবীক্ষণ ও তথ্য সেবা প্রদান;
২৭) দানা জাতীয় শস্য, পাট ও অন্যান্য শস্যবীজ উৎপাদন ও উন্নতমানের বীজ উৎপাদনে সার্বিক সেবা প্রদান;
২৮) শংকর বীজ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ;
২৯) আলুসহ উদ্যান ফসলের বীজ/চারা উৎপাদনের পাশাপাশি ব্যক্তি খাতে বাণিজ্যিক উৎপাদনের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সেবা প্রদান;
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস